কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম-(বার) এর নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা কুষ্টিয়া ওসি ডিবি , আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম , এসআই মনিরুজ্জামান ,এএসআই জুবায়ের, এএসআই রুহুল আমিন সহ সঙ্গীয় ফোর্স এর সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ভেড়ামারা থানাধীন ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে হইতে নানা অপকর্মের মূল হোতা প্রতারক মোখলেছ আলী (৩৩) কে গ্রেফতার করা হয়। সে মিরপুর থানার লক্ষ্মীধরদিয়ার এলাকার মৃত মোসলেম আলীর পূত্র। প্রতারক মোখলেছ দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভেড়ামারার বিশিষ্ট জর্দা ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের কাছ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে চাঁদা দেয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা সহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে অনুমান প্রায় ২২ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। তার এই কাজে সহযোগিতা করে কথিত ডিসি ফাতেমা এসপি জাহাঙ্গীর আলম ও ইউএনও পারভিন আক্তার নামে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রতারণা করে আসছে। কখনও মোখলেস সাবেক সংস্থাপন সচিব ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য জনাব রাশেদুল আলম এর কথিত এপিএস পরিচয় দিয়ে মিরপুরের পোড়াদহ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক জামান( জন )এর নিকট হইতে লাইসেন্স করে দেওয়ার নামে দেড় লক্ষ টাকা, ভেড়ামারার আসাদের নিকট হইতে খাস জমি পাইয়ে দেয়ার নামে নামে ৬ লক্ষ টাকা প্রতারণাপূর্বক আত্মসাৎ করে। প্রতারক মোখলেছের সহযোগী কথিত ডিসি ফাতেমার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি কে খাস জমি পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছে সে। আসামি মোখলেসের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানার মামলা নম্বর ১৩তারিখ২৮/০৮/২০২০ ধারা ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড তৎসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন২০১৮ এর ২৩(৩),২৪(৩),২৬(৩) রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।