বাউল_সম্রাট_লালন_শাহে্র_মাজার
সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে!
কুষ্টিয়া অফিসঃ
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়া নামক স্থানে লালনের আখড়ার অবস্থান।বাউল সম্রাট লালনকে সমাহিত করা হয় ছেউড়িয়ার মাটিতেই। তার মৃত্যুর পর শিষ্যরা এখানেই গড়ে তােলে মাজার বা স্থানীয়দের ভাষায় লালনের আখড়া । বিশাল গম্বুজে তার সমাধি ঘিরে সারি সারি শিষ্যের কবর রয়েছে। এ মাজারটি বাউলদের তীর্থস্থান। মাজার থেকে কিছু দূরে রয়েছে একটি ফটক। এ ফটক দিয়েই মাজারে প্রবেশ করতে হয় । প্রতি বছর তার মৃত্যুবার্ষিকীতে সাধুভক্তদের পাশাপাশি বাউল সম্রাটের টানে ছুটে আসে লাখাে পর্যটকের দল। মাজারের পাশে রয়েছে লালন মিউজিয়াম। লালনের একটি দরজা , লালনের বসার জলচকি ভক্তদের ঘটি – বাটি ও বেশকিছু দুর্লভ ছবি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। মাজার থেকে বেরিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন লালনের আবক্ষমূর্তি।
লালন মেলাঃ
লালন মেলা বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। একটা দোল পূর্ণিমায় অন্যটা লালনের মৃত্যুবার্ষিকীতে। এই উপলক্ষে কুষ্টিয়ার লালন আখড়ায় ৩ দিন ব্যাপী বিশাল মেলা হয় যা লালন মেলা নামে পরিচিত। রাত ভর চলে লালন গানের আসর। বছরের এই ৩ টা দিন লালন আখড়া থাকে জমজমাট। লালন_মেলা উপলক্ষে আখড়াবাড়ীর লালন মাজারকে সাজানাে হয় নানা সাজে । প্রধান ফটক আর মূল মাজারে সাদা , লাল , নীল আলােকসজ্জা , বিশাল তােরণ নির্মাণ ও মাজারের বাইরে “কালী নদী”র ভরাটকৃত জায়গায় স্থাপিত লালন মঞ্চের সামনে বিশাল ছামিয়ানা টাঙানাে হয়। আলােচনা মঞ্চের চারপাশ লালন মাজারের প্রধান রাস্তাজুড়ে বসে গ্রামীণমেলা। মেলায় নানা রকম গৃহসামগ্রী , কাঠের তৈরি সাংসারিক নানা জিনিসপত্র , গরম জিলাপি , পাঁপড় ভাজা , লালনের গানের সিডি , গেঞ্জি , শন পাপড়ি , আখের শরবত , খই – বাতাসাসহ হরেক রকম পসরা বসে।
লালন শাহে্র মাজারে কিভাবে যাবেনঃ
বাস যোগেঃ
ঢাকার গাবতলী কিংবা টেকনিক্যাল মােড় থেকে এসবি , শ্যামলী , হানিফ , সােহাগ পরিবহনের বাস বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকা-কুষ্টিয়া সরাসরি চলাচল করে ।
এছাড়াও ঢাকা-কুমারখালী সরাসরি অনেক বাস চলাচল করে । কুষ্টিয়া শহর থেকে রিকশা অথবা অটোরিকশায় লালন শাহের মাজারে যেতে পারেন । সেখানে আপনার ২০-৩০ টাকা ভাড়া লাগবে।
ট্রেন যোগেঃ
কমলাপুর_রেলওয়ে_স্টেশন থেকে সুন্দরবন ও ক্যান্টনমেন্ট_স্টেশন থেকে চিত্রা এক্সপ্রেসে যেতে পারেন । তবে সেক্ষেত্রে কুষ্টিয়ার অবস্থিত পােড়াদহ রেল স্টেশনে নেমে বাস কিংবা অটোরিকশায় চড়ে শহরে আসতে হবে । পােড়াদহ রেল স্টেশন থেকে বাসে / সিএনজি কুষ্টিয়া_মজমপুরগেট , ভাড়া ৩০ টাকা , সময় লাগে আধা ঘণ্টা । এই দুটি ট্রেন কুষ্টিয়া সদরের কোর্ট স্টেশনে থামে না। এখান থেকে আপনি ২০-৩০ টাকা রিকশা বা ইজিবাইকে করে পৌঁছে যাবেন লালন শাহে্র মাজারে।
কোথায় থাকবেনঃ
থাকার জন্য শহরেই মানসম্মত অনেক হােটেল পাবেন । এর মধ্যে পদ্ম , হােটেল রিভার ভিউ , গােল্ড স্টার , সানমুন, মনির টাওয়ার,দিশা টাওয়ার অন্যতম ।
কোথায় খাবেনঃ
খাওয়ার জন্য রয়েছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট । তার মধ্যে জাহাঙ্গীর হােটেল , শিল্পী হােটেল , বিসমিল্লাহ হোটেল, শফি হােটেল , হােটেল খাওয়া – দাওয়া , মৌবন রেস্টুরেন্ট। চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এর মধ্যে খেয়া, পালকি, ধোঁয়া, ক্যাফে দি পাস্তা, মেহেরজান, ফুড পার্ক, চিলিস ফুড পার্ক,পার্কো, ধোনি, টমাটিনো, নবান্ন ইত্যাদি।