ঝিনাইদহ অফিস :
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে অসহায় একটি পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখল করে চাষাবাদ করছে প্রভাবশালী এক কলেজ শিক্ষক ও তার পরিবার। জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে নানা অজুহাতে করা হচ্ছে হামলা ও মামলা। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে অসহায় পরিবারটি। তবে কাগজপত্র ঠিক থাকলে অবশ্যই তারা জমি ফিরে পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসন।
জানা যায়, ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে পিতার রেখে যাওয়া ৬৬ শতক জমি ভোগদখল করে আসছিল পরিবারটি। ৩ বছর আগে আদালত থেকে ২০ শতক জমির রায় ওই গ্রামের প্রভাবশালী কলেজ শিক্ষকের পক্ষে যায়। আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ২০ শতক জমির মালিকানা স্বত্ব ছেড়ে দিলেও অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন ও তার পরিবার পুরো ৬৬ শতক জমি জোরপুর্বক দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জমি ফেরত দেওয়ার কথা বললে নানা অজুহাতে হামলা চালানো হচ্ছে। করা হচ্ছে বাড়ীঘর ভাংচুর। সম্প্রতি জমির বিষয় নিয়ে কথা তুললে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবারের ১৫ জন সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর আহত ও বাড়ীঘর ভাংচুর করা হয়। উল্টো থানায় মামলা দিয়ে হয়রানিও করা হচ্ছে বলে অভিযোক্ত ভুক্তভোগীদের। তাই অসহায় পরিবারটি জমি ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছে।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন বলছেন, আদালতের রায় পেয়েই তারা জমি দখলে নিয়েছেন।
কাগজপত্র ঠিক থাকলে অবশ্যই তারা জমি ফিরে পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ।
সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় অসহায় পরিবারটি তাদের পাওনা জমি ফিরে পাবে এমনটি আশা করছেন এলাকাবাসী।