শুভ জন্মদিন ড.এমদাদ হাসনায়েন
এসএম জামালঃ
শুভ জন্মদিন। লেখক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন এর আজ শুভ জন্মদিন। আজকের এই জন্মদিনে আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে তিনি কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহন করেন।
তার পিতা: অধ্যক্ষ মুহম্মদ আমজাদ হোসেন (সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়) ও মাতা: আম্বিয়া খাতুন (অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক)।
তার স্ত্রী: ড. সারিয়া সুলতানা
তিনি কণ্ঠধ্বনি প্রকাশনী’র স্বত্বাধিকারী এবং কোবাডাক হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার এর পরিচালক।
তবে তিনি কুষ্টিয়াকে বিশ্বের দরবারে মেলে ধরতে গবেষণামূলক গ্রন্থ: ‘কুষ্টিয়ার ইতিহাস’ লিখে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এবং ‘ধর্মীয় ইতিহাস স্থাপত্যে কুষ্টিয়া’ এবং তার সম্পাদিত গ্রন্থ: ‘দুই বাঙলার নান্দনিক কবিতা’ ১০১ কবি ৩৬৫ কবিতা এছাড়াও তার প্রবন্ধ রয়েছে ৫টি বাংলার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
তিনি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির আজীবন সদস্য, লালন একাডেমি আজীবন সদস্য ও বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির আজীবন সদস্য। তার পুরস্কারের ঝুলিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা পদক, কুষ্টিয়া গুণীজন সংবর্ধনা, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী এ্যাওয়ার্ড, প্রাপ্তি গ্রন্থপদক সম্মাননা, ভালোবাসার কুষ্টিয়া গুণীজন সংবর্ধনা, চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় সম্মাননা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক ২০২০।
কুষ্টিয়ার ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র ড. এমদাদ হাসনায়েন তার লেখনীতে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে তিনি হলেন তার সহধর্মিণী ড. সারিয়া সুলতানা। তারা দুজন মিলেই ‘কুষ্টিয়ার ইতিহাস’ গ্রন্থের লেখার মধ্যে দিয়ে ইতিহাস প্রিয় মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এ দম্পতি।
জন্মদিন উপলক্ষে কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন জানান, এবারে তেমন কোন আয়োজন নেই। পরিবার পরিজনের সাথে একটু সময় দেবো। এছাড়াও পারিবারিকভাবে দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পিতার চাকুরি সুবাদে আমরা কুষ্টিয়াতে আসি ১৯৭৬ সালে। ১৯৭৮ সালে আমলাপাড়া সারদা ৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা যাত্রা শুরু। ১৯৮১ সালে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হই, ১৯৮৮ সালে এসএসসি শেষ করি। ১৯৯০ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ইতিহাসের স্বাক্ষী কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষে অর্থনীতিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তি হই। সম্মান ও মাস্টার্স শেষ করে ২০০১-২০০২ শিক্ষাবর্ষে এমফিল এ ভর্তি হই। মাস্টার্স লেখাপড়া শেষ করে কিছুদিন চাকুরি করেছি।
তবে নিজেই কিছু করবো এমন ভাবনা থেকেই কুষ্টিয়ার জন্য কিছু করে যাওয়ার প্রয়াস। ২০০২ সাল থেকেই ‘কুষ্টিয়ার ইতিহাস’ গ্রন্থের জন্য তথ্য সংগ্রহ করি এবং প্রকাশ পায় ২০১৮ সালে একুশে গ্রন্থ মেলায়। তিনি বলেন, পরবর্তীতে ভাবলাম এপার বাংলা ওপার বাংলার জন্য কিছু করতে। তাই ভেবে লিখি ‘দুই বাঙলার নান্দনিক কবিতা’ ১০১ কবি ৩৬৫ কবিতা। যা দুই বাংলাকে সমাদৃত করবে। করেছেও তাই। তবে এই কৃতিমান লেখক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস ক্লাবের সাথেও যুক্ত ছিলেন। মুলত সে সময় থেকেই লেখালেখি শুরু করেন তিনি। তার জন্মদিন বয়ে আনুক অনাবিল সুখ আর শান্তি।