কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ১২ দাগ গ্রামের জিয়া উদ্দীনের মেয়ে এবং পিডিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী মাঈশার (১১) রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মাঈশাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে ভেড়ামারা থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে মাঈশার মৃত দেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে দেন। শনিবার পোষ্টমর্টেম শেষে দাফন কার্য সম্পাদন হওয়ার কথা রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, জিয়া উদ্দীনের এক মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মাঈশায় বড়।
মৃত্যুর সময় মাঈশার মা-বাবা দুজনের কেউই বাড়িতে ছিলনা। মা ছিল নানীর বাড়ীতে এবং বাবা জিয়াউদ্দীন পার্শ্ববর্তী নিজের মুদিও দোকানে।
বাসায় ছিলো মাঈশার স্বামী পরিত্যক্তা ফুফু নার্গীস
সুলতানা ও বৃদ্ধ অচল দাদী এবং চাচা নাজমুল আলমের দুই ছেলে মেয়ে ফারুক ও নিশি।
এব্যাপারে মাঈশার ফুফু নার্গীস সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,
দুপুরে ঘরে ঢুকেই সিলিং ফ্যানের সাথে গলাই ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মাঈশাকে ঝুলতে দেখে চিৎকার শুরু করি পরে সবাই ছুটে এসে মাঈশাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তবে মাঈশা যে ঘরে গলাই ফাঁস দিয়ে ঝুলছিলো সে ঘরের দরজা, জানালা সবই খোলা ছিল। এমনকি তার পা খাটের উপরে ছিলো বলেও উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন। তবে মাঈশার ফুফু জানান, তার কাছেও মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে, কারন দেখিয়েছেন ওড়নায় যে গিরা গুলো বাধাঁ রয়েছে সেটা মাঈশার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয় যদিও ওড়নাটি ছিলো নার্গিস সুলতানার নিজেরই। এবং মাঈশা রাতে ফুফুর কাছেই ঘুমাতো। সিরাজগঞ্জে স্বামী নজরুল ইসলামের সাথে বিচ্ছেদের পর দীর্ঘদিন ধরে এই বাড়ীতেই থাকে মাঈশার ফুফু।
ফুফু নার্গীস সুলতানার ১৬/১৭ বছরের একটা ছেলেও থাকে তার সাথে এ বাড়ীতে।
তবে এলাকাবাসী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই
মাঈশার মৃত্যুকে অত্মহত্যা হিসাবে মানতে পারছে না। ধারনা করছেন রহস্যজনক মৃত্যু এটা।
তবে পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট আসলেই বলা সম্ভব
আসলেই এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
তবে এলাকাবাসী বিষয়টির সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন।