কুমারখালীতে যৌতুকের দাবির জন্য দুই সন্তানের জননীকে মারপিট
কুষ্টিয়ার-কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের দারিগ গ্রামের মিরাজের মেয়ে মেরিনা খাতুন এর সঙ্গে বিবাহ হয়,একই ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে শামীমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনা আবদ্ধ হয়। বিবাহর পর থেকেই শুরু হয় যৌতুকের দাবিতে মাঝে মধ্যেই শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল শামীম।তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি সন্তান জন্ম হয়।এভাবেই চলতে থাকে দীর্ঘ ১৫ বছর।
মেরিনার পিতা সামছদ্দিন যানান একাধিক বার গ্রাম্য থানা ও মহিলা পরিষদের মাধ্যমে সালিশ বিচার হলেও থেমে থাকেনি মেরিনার উপরে শারিরিক নির্যাতন।গতো ১০ এ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টা থেকে,থেমে থেমে শারিরিক নির্যাতন শুরু করে মেরিনার উপরে,নির্যাতনের শামিল হয় শামীমের পিতা সামসুদ্দিন ও চাচা মোকসেদ আলী।
আজ ১১ ই সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টা পর্যন্ত।স্বামী শশুর ও চাচা শশুর নির্যাতন করে মেরিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে, ভ্যানযোগে স্বামীর বাড়ি থেকে মেরিনাকে পিতার বাড়িতে দারিগ গ্রামে পাঠিয়ে দেয়।
মেরিনার শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে,মেরিনার পরিবারের লোকজন দ্রুত কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার আলিম আল রাজিন, মেরিনাকে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখেন।