মুজিববর্ষে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে হাইস্কুল-মাদ্রাসা ও কলেজ জাতীয়করণের ঘোষনার দাবী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নিকট
জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল
মুজিববর্ষে ৫ই আক্টোবর’২০ বিশ্ব শিক্ষক দিবসে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা কলেজের শরীরচর্চা শিক্ষক ও সাংবাদিক নেতা প্রেসক্লাবের সন্মানিত সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল -হাইস্কুল-মাদ্রাসা ও কলেজ জাতীয়করণের ঘোষনার জোর দাবী জানিয়েছেন, শিক্ষা বান্ধব প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা কলেজের শরীরচর্চা শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল তার লিখিত এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন,
আমরা বেসরকারি হাই স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারী। আমরা শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মচারীরা দায়িত্ব কর্তব্য ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে এসেছি। আগামীতে আপনার সোনার বাংলা গড়ার সপ্ন সারথী হতে চাই। শিক্ষার মান পাঠদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চাই। আমরা দেশের হাই স্কুল মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষা দানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা, মেধা দিয়ে লেখাপড়া করিয়ে থাকি। যারা লেখাপড়া শেষ করে কর্ম জীবনে প্রবেশ করে। পরিবার পরিজনের ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিয়ে থাকে এবং দেশ ও দশের কল্যাণ ও সেবায় আত্মনিয়োগ করে।
অতীতে বাঙ্গালীর প্রাণের নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন আমলে দেশের সকল প্রাইমারী স্কুল জাতীয়করণ করে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
তারই সুযোগ্য কন্যা যোগ্য উত্তরসূরি আমাদের প্রিয় ৪ বারের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আপনি বঙ্গবন্ধুর সপ্নের ধারক ও বাহক ও যোগ্য উত্তরসুরী হিসাবে সম্প্রতি দেশের সকল প্রাইমারী স্কুল গুলো জাতীয়করণ করে এক নজির ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেশবাসী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আপনার কাছে সারা জীবন চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। এখন হাইস্কুল মাদ্রাসা ও কলেজের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের মুখের দিকে তাকিয়ে মুজিববর্ষে ৫ই আক্টোবর’২০ বিশ্ব শিক্ষক দিবসে আপনার কাছে আকুল ভরা কন্ঠে জোর দাবী জানাচ্ছি, দিবসের দিন শিক্ষক ও কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণের ঘোষনা দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটাবেন। শিক্ষক পরিবারের সদস্যদের সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দিবেন। এমন আশা রাখতেই পারি। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকলাম।
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের কোন মৌলিক অধিকার না পাওয়ার কারণে (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা) তাদের মধ্যে কোন শিক্ষা সংস্কৃতি কিছুই ছিল না, ফলে তারা বিশৃঙ্খল জীবন যাপন করতে বাধ্য হত। যার কারণে তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। নিন্দিত জাতি হিসেবে পৃথিবীতে তারা পরিচিতি পেয়েছে। বর্তমানে আপনি তাদেরকে আমাদের দেশে আশ্রয় দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে “মানবতার মা” উপাধি পেয়েছেন। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের, সম্মানের বিষয়। আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ বঙ্গবন্ধুর কন্যা হয়ে সারা পৃথিবীর মানুষ আজ আপনাকে মানবতার মা বলে ডাকেন, সেই মানবতার ছোঁয়ায় মুজিববর্ষে ৫ই আক্টোবর’২০ বিশ্ব শিক্ষক দিবসে দেশের সকল হাই স্কুল মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণের বহু আকাঙ্ক্ষিত সেই ঘোষণা দিবেন।