দামুড়হুদায় বিজিবির পৃথক পৃথক অভিযানে ৩চোরাকারবারি সহ পুলিশের এ.এস.আই আটক
মিজানুর রহমান
চুয়াডাঙ্গা ১২ অক্টোবর ২০
দামুড়হুদায় বিজিবির পৃথক পৃথক অভিযানে ৩চোরাকারবারি সহ পুলিশের এ.এস.আই কে আটক হয়েছে।
গত ১০/১০/২০২০ রোজ শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফুলবাড়ির বিওপির টলরত কমান্ডার নায়েক সুবেদার চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলায় পৃথক পৃথক অভিযানে ১০ রাউন্ড গুলি ভর্তিসহ ৯এম এম পিস্তল,৬টা সোনার বার ও ৬০কেজি সীসা এবং একটি ইজিবাইক ও ৩চোরাকারবারি সহ পুলিশের এ এস আই হুমায়ুন কবীর (৩৭) কে আটক করেন ফুলবাড়ীর বিজিবির টহলরত কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোস্তাফিজুর রহমান।
এই বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬বিজিবির অধিনায়ক মোঃখালেকুজ্জামান সাংবাদিকদের পৃথক পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার অন্তর্গত ধান্যঘোরা গ্রামের কাঠালতলা নামক স্থান হইতে ১০/১০/২০২০ রোজ শনিবার রাত সাড়ে ৯টার সময় দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার পুলিশ ফাঁড়ীর কর্মরত ও নড়াইল জেলার বড়গাতি গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে এ এস আই হুমায়ুন কবীর (৩৭) কাছ থেকে ১০ রাউন্ড গুলিভর্তি সহ ৯এম এম পিস্তলসহ একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
অপর আসামীদের কাছ থেকে ৬টা সোনার বার, ৬০ কেজি সীসা সহ একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক জব্দ করেন এবং পিস্তল ও গুলি সরকারী- সম্পদ হওয়ায় হুমায়ন কবির কে বাদ দিয়ে ৩জনের নামে চোরাচালানের মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে হোসেনের ছেলে মোঃ জহিরুল (৪৮) নামে দর্শনা থানায় পৃথক, পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।
অপর দিকে ১১/১০/২০২০ রোজ রবিবার দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সীপুর বিজিবির টওলরত সকাল ৮টার সময় চোরাচালানী অভিযান চালিয়ে সীমান্তবর্তী কুতুবপুর গ্রামের মাঝেরপাড়া হইতে রাস্তার উপর থেকে মুন্সীপুর গ্রামের মৃত পাথন আলীর ছেলে কলিম উদ্দিন (৩৮)কে স্বর্ণ পাচারকারী সন্দেহ আটক করেন। পরে শরীর তল্যাশি করে মলদ্বার হইতে ৬পিচ স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ৬টি স্বর্ণের বার ৫৭ভরি ০৫ আনা ও ৬০ কেজি সীসা যার বর্তমান বাজর মূল্য ৩৯ লাখ ৫৪হাজার ৫৬২টাকা। একই দিনে বিকালে হাবিলদার মোঃ হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় চোরাচালানীর মামলা দায়ের করেন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।