জীবননগর কাশিপুরে মাদ্রাসার ছাত্রকে নির্যাতনের দায়ে দুই শিক্ষক গ্রেফতার।
মিজানুর রহমান
চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলায় কে.ডি.কে ইউনিয়নের কাশিপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র নাসিম (৯) কে পিটিয়ে মারাত্বক জখম করার অভিযোগে পুলিশ অত্র মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায় জীবননগর উপজেলায়
কে.ডি.কে ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে অবস্থিত কাশিপুর দারুল উলুম মাদ্রাসার নাসিম( ৯) প্রথম শ্রেনীর ছাত্র। কিন্তু সে অনুপস্থিতির অপরাধে তাকে গত ২১/১০/২০২০ রোজ বুধবার সকালে ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল মাজেদ তাকে মারাত্বক ভাবে পিটিয়ে আটকিয়ে রাখে।পরে দুপুরের দিকে যখন নাসিম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো তখনও তাকে ধরে নিয়ে এসে আবারও মারধর করা হয়।ঘটনাটি প্রতিবেশিরা জানার পর উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসাটি কে ঘিরে ফেলে ও অভিযুক্ত শিক্ষকদের কে শাস্তির দাবী করেন। এমন পরিস্থিতিকে সামাল দিতে জীবননগর থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক মাজেদ ও শাহিনকে গ্রেফতার করে জীবননগর থানা হাজতে নিয়ে আসেন। এবং আহত মাদ্রাসার ছাত্র নাসিমকে পরে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত নাসিম বলেন আমি বুধবার সকালে ক্লাসে গেল মাজেদ হুজুর বলে তুই ক্লাসে অনুপস্থিত থাকিস কেন এই বলেই আমার মারপিট শুরু করে দেয় ও আটকিয়ে রাখে। আমি দুপুরে নামাজের সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তখন শাহিন হুজুর আমাকে ধরে দ্বিতীয় দফায় মারধর শুরু করে ও ছুড়ে ফেলায় বেঞ্চের কোনায় লেগে আমার হাত ভেঙ্গে যায়। তখন গ্রামবাসীরা জানার পর সন্ধায় আমাকে উদ্ধার করে। নাসিমের পিতা আলাউদ্দিন বলেন আমার ছেলে নাসিম
মাদ্রাসায় না যাওয়ার কারণে দুই শিক্ষক মারপিট করে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। আমরা জানি স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসায় শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো ছড়ায় কিন্তু আজ আলো ছড়ানো তো দূরের কথা মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চায় এবং আগামীতে যেন এই ধরনের আর কোন ঘটনা না ঘটে সেই দিকে যেন উর্দ্ধতম কর্মকর্তারা দৃষ্টি রাখেন। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন আহত মাদ্রাসার ছাত্র নাসিমের বাবা আলাউদ্দিন বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।