◾এই তরুণ তুর্কী জনতার বন্ধু!
“মেয়র’র পদবী নয়, জনতার সেবার ‘মাধ্যম’ হতে চাই মাত্র”…
……………মেয়র প্রার্থী টুটুল
| বাবলু মোস্তাফিজ |
জনতার বন্ধু বা একান্ত আপনজন হয়ে উঠার
সাধনায় জাসদ মনোনিত ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুল কবির টুটুল’র একটায় ভাবনা ও লক্ষ্য, “কর্মগুনে ও সৃষ্টির মাধ্যমে”
গণমানুষের সেবক হয়ে ওঠা।
চিরদিন জনতার মাঝে জনতার হয়ে বেঁচে থাকতে চায়। আর এর জন্য যা ভালো তাই করতে সে প্রস্তুত।
মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুল কবির টুটুল তার ছোট্ট অথচ মুল্যবান
একটি কথা পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে বলা কথা,
যা প্রকাশ না করলেই নয়-
“জনতার কাছে সাহেব নয়, সেবক হতে চাই। পৌর মেয়র’র পদ বা পদবী নয়, জনতার সেবার ‘মাধ্যম’ হতে চাই মাত্র”।
“পৌরভবন” কে সকল সমস্যার সমাধান, ন্যায় বিচার কেন্দ্র বা নাগরিক সেবালয় ও পৌরবাসীর চাওয়া-পাওয়ার আস্থার ও নির্ভরযোগ্য একটি “ঠিকানা’র
স্থায়ী রূপ দিতে চাই।
স্বরণীয় এইযে…
আজ মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুল কবির টুটুল যে জায়গায়,
অর্থাৎ যে বয়সে দাঁড়িয়ে আজ জন প্রতিনিধি হতে প্রার্থী।
এই ভেড়ামারায় যাহারা আজ জনপ্রতিনিধি তারা অতীতে কেমন ছিলো গুন, বিশ্বাস, যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা, বয়স, সফলতা, কর্মময় জীবন, অর্থনৈতিক অবস্থা, ব্যাক্তিত্ব?
এছাড়াও আরো অনেক,অনেক, অনেক কিছু।
-একটু ভেবে দেখতে দোষ কি! আসুন একটু ভেবে দেখি।
এছাড়াও দেশ-বিদেশে নাম ছড়ানো জনপ্রিয় ব্যাক্তি বা নেতা অথবা মনিষিরা কত বয়সে সফলতা লাভ বা তাদের সৃষ্টির জন্য জনপ্রিয় ব্যাক্তিতে পরিনত হয়েছিল কর্মফল রচিত হয়েছিল।
-নিশ্চয় বেশির ভাগই তরুন-যুবক বয়সে আলো ছড়িয়েছে তারা।
তাও আমরা জানি। সেই জন্য বয়সের দোহায় বা প্রশ্ন না তোলায় ভালো হবে।
আজ টুটুল যে সময়ে বা বয়সে অবস্থান করছে, এটাই ত উপযুক্ত বয়স। কল্যাণময় কাজ করে দেখানোর বয়স। তাই নয় কি?
বাঙ্গালী জাতির প্রিয় নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত বয়সে শ্রেষ্ঠ বা অমর সৃষ্টি রচনা করেছেন বা রাজনৈতিক ভাবে নেতৃত্ব দিয়ে নেতা হয়েছে এবং তার অর্জনগুলো কোন বয়সে হয়েছিলো তাও আমরা কম-বেশী অবগত।
দয়া করে বয়সের ধোয়া তুলে লাভ নেই।
এই দিক দিয়ে এ বয়সে আনোয়ারুল কবির টুটুল কতটা এগিয়ে?
আজকে যারা জনপ্রতিনিধি বা প্রার্থী, তাদের সাথে তুলনা করা খুব বেশি কি যুক্তি যুক্ত হবে? প্রশ্ন রাখলাম।
জাসদ থেকে যারা একবার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে যায় তারা জনতার প্রিয় নেতাই শুধু নয়, জনতা তাদের পরিবারের সদস্য বানিয়ে বার, বার নির্বাচিত করে এবং করেছে। তা আজ প্রমানিত।
কুষ্টিয়া সহ আশে পাশে সেইসব জনপ্রতিনিধি বা জনতার বন্ধু খ্যাত নামগুলো আমরা কম বেশী সবাই জানি।
আনোয়ারুল কবির টুটুল বিত্তশালী থেকে আরো বিত্তশালী হওয়ার পেছনে না ছুটে, কেন তিনি জনগনের সেবক বা সেবার ফেরিওয়ালা হতে আগ্রহী হলেন?
আনোয়ারুল কবির টুটুল বলেন, বিত্তশালী হয়েও যেমন হৃদয়বান হওয়া যায় না।
ধনী হলেও মানুষ তাকে ভালোবাসার পিঞ্জরের বাধনে বেধে ত রাখে-না,
মানুষ বেঁচে থাকে মানুষের সৃষ্টির মধ্য দিয়ে কর্মের গুনে।
অনেকেই প্রশ্ন রাখতে পারে, নিজ সম্পত্তি দিয়ে অবকাঠামো নির্মান করেও তো সেবামুলক কর্মকান্ড করা যায়।
মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুল কবির টুটুল উত্তরে বলন, সেটা করার সুযোগ ত আমার রয়েছেই।
বৃহৎ পরিসরে কিছু করতে গেলে বা সরকারি ভূমিতে করতে গেলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ প্রয়োজন পড়ে। জনপ্রতিনধি হতে হয়।
মানুষের অধিকার মুলক সেবা রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে।
কিন্তু তা বাস্তবায়নে জনপ্রতিধির ভুমিকা আমাদের দেশে একটু অন্যরকম।
প্রকৃত দেশ-জনতা প্রেমিক জনপ্রতিনিধিরা যখন তাদের কাজ টুকু শতভাগ জনগনের কল্যাণে করতে পেরেছে তারাই জনপ্রিয় তারাই ইতিহাস, তারাই জনতার মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন।
তারাই মরে গিয়েও নিজ কর্মগুনে অমর হয়ে রয়েছেন। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন।
সুযোগ আছে আমার দেশ ও জনতার জন্য ভালো কিছু করার।
এখন আল্লাহর উপর ভরসা আর জনগনের দোয়া ও সমর্থন।
বাহ…মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুল কবির টুটুল’র কথা মনে ধরার মত বৈকি।
তবে সরল হিসাবে বলা যায় টুটুলের অর্জিত পৈত্রিক সম্পত্তি ও তার নিজস্ব ব্যাবসা যা রয়েছে তা যথেষ্টই শুধু নয়, জীবন ধারনে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশী।
সেই দিক বিবেচনা করে একটি কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় “রাষ্ট্রের সম্পদ হরণ হবে না, জনতার সেবার বাজেট তসরুপ হবে না”।
(একটি উদাহরণ এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে শহরের পাশেই চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন। সেখানকার চেয়ারম্যান আবদুল হাফিজ তপন তিনি শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানই শুধু নয় উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন চাঁদগ্রামকে বানিয়েছে। আপনারা হয়ত অনেকে অবগত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আবদুল হাফিজ তপন চেয়ারম্যান হিসাবে সরকার থেকে যে সম্মানি পায় তা অসহায় একটি পরিবারের কাছে সবটুকুই দিয়ে দেন) এমন নজীর কি আর দেখতে পেয়েছি, বিশেষ করে আশে পাশে?
জনপ্রিয় ও শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপনও এ সমাজে একজন সফল ব্যাবসায়ীকও বটে। তাই তার রাষ্ট্রের সম্পদ হরণ বা ভোগ করার প্রয়োজন পড়ে না।
আনোয়ারুল কবির টুটুল’র জনতার সেবক হতে তার এই চিন্তা ও বোধকে সন্মান জানাতে পারি কি-না আপনাদের কাছে অর্থাৎ সচেতন জনগোষ্ঠীর কাছে প্রশ্ন রাখলাম।
মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুল কবির টুটুল সকলের কাছে দোয়া ও সমর্থন এবং ভালোবাসা কামনা করেছেন।
এবং সবার সুস্থতা কামনা করেছেন।
সেই সাথে করোনা মোকাবিলা করতে মাস্ক পরিধান করুন।
চলবে…..