প্রেম মানে না বয়স, প্রেম মানে না সমাজ, প্রেম মানেনা কোন সম্পর্ক, যদি হয় সেটা পরকিয়া প্রেম। সন্তানের মায়া ত্যাগ করে প্রবাসী স্বামীর কথা ভুলে গিয়ে প্রেমের টানে, প্রেমে মজে বুড়া ও আপন খালুর সাথে ঘর ছাড়লো দু সন্তানের জননী। নিজের দুই ছোট্ট নিস্পাপ শিশুর মায়া ভরা মুখ আটকাতে পারলো না প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া মাকে। হায়রে পরকীয়া প্রেম।
গুনে না হলেও রূপে সুন্দরী ৩০ বছরের দুই সন্তানের জননী ৫০বছরের আধবুড়া আপন খালু শ্বশুরের হাত ধরে প্রেমে মজে নিরুদ্দেশ।
এঘটনা চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের লক্ষীপুর গ্রামের। সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী, ও দুই সন্তানের জননী আপন খালু শ্বশুরের হাত ধরে পাড়ি জমিয়েছে স্বপ্নের ঠিকানায়। হয়েছেন নিরুদ্দেশ। চলে যাওয়ার সময় নগত টাকা ও গহনাসহ পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে। এই ব্যাপারে পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূর শ্বশুর মোঃ জালাল উদ্দিন ১৬/৮/২০২০ রোজ রোববার জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নিরুদ্দেশ হওয়া গৃহবধূর শ্বশুর। থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গবরগাড়া পশ্চিম মাঠ পাড়ার আজমত আলীর মেয়ে আমিরুন্নেছার সাথে ১১ বছর আগে জীবননগর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের লক্ষীপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমানের সাথে পারিবারিক বিয়ে হয়। বিয়ের পরেই সুন্দরি আমিরুনেছার (৩০) প্রতি কু-নজর পড়ে আপন খালু শ্বশুর প্রতিবেশি আনছার আলীর ছেলে মোঃ শফির(৫০) কৌশলে গৃহবধূ আমিরুনেছার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই ভাবে চলার মাঝেই গৃহবধূ আমিরুন্নেছা দুই সন্তানের মা হন। সংসারের চাহিদা মেটানোর জন্য দুই বছর আগে স্বামী হাফিজুর রহমান সুন্দরী স্ত্রী ও ছোট দুই সন্তান রেখে সৌদিআরব পাড়ি জমান। এর পর থেকেই অবাদে চলতে থাকে তাদের পরকীয়া প্রেম ও অবৈধ মলামেশা। অবশ্য গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিষয়টি অনুভব করতে পারায় প্রায় সময় সংসারে লেগে থাকতো অশান্তি। সর্বশেষ বাপের বাড়ি অবস্থান নিয়ে আরও গভীরতম পর্যায়ে পৌছায় মেলামেশা। এভাবে আর কতোদিন দুজনেই সিদ্ধান্ত নেয় অবৈধ সম্পর্ক কে বৈধ করার। গত বুধবার দুপুরে আপন খালু শ্বশুর মোঃ শফির হাত ধরে ঘর বাঁধার আশায় নিজ ঘর বাড়ি সন্তান ফেলে নতুন সংসার পাততে স্বামীর দেওয়া নগত টাকা ও গহনা নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে বলে জানা যায়।
৫০বছর বয়সী লম্পট খালু শ্বশুর মোঃ শফির স্ত্রী সংবাদ কর্মীদের বলেন, বুড়ার এ বয়সে ভীমরতি হয়েছে। আমার স্বামীর উচিৎ বিচার হোক শাস্তি পাক। পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূর শ্বশুর বলেন, আমি তাদের ছোট দুইটি সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছি এবং অনেক খোঁজা খুঁজিতে না পাইয়া আমি অবশেষে থানায় অভিযোগ করেছি। তিনি আরও বলেন তার ছেলের বৌ যদি ফিরে নাও আসে দুঃখ নেই। তবে তার ছেলের দেওয়া টাকা ও গহনা ফেরত পেতে চান। এঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। মানুষের আলোচনায় মুখোর তাদের নিয়ে।